Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ মার্চ ২০১৫

খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষণে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো

খাদ্য নিরাপত্তা নীতি এবং পরিকল্পনাঃ

১৯৯৬ সনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব খাদ্য শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ সরকার পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা নীতি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সরকার সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নীতি (জাতীয় খাদ্য নীতি ২০০৬), কর্মসূচী ডকুমেন্ট (জাতীয় খাদ্য নীতি কর্মপরিকল্পনা ২০০৮-২০১৫) এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি বিনিয়োগ পরিকল্পনা (বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা সিআইপি) প্রণয়ন করে। খাদ্য নিরাপত্তা সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টে ক্লিক করুনঃ

খাদ্য নিরাপত্তায় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো:

বাংলাদেশে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার মাধ্যমে খঅদ্য নিরাপত্তা বাস্তবায়িত হয়। খাদ্য নিরাপত্তার বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারনে বিভিন্ন সেক্টর (যেমন: কৃষি, গ্রামীন উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, মহিলা ও শিশু বিষয়ক, অর্থ, বাণিজ্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা) এবং বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ খাদ্য নিরাপত্তা বাস্তবায়নে জড়িত।

৪ (চার) টি কমিটি এবং ইউনিট এই খাদ্য নিরাপত্তা নীতি, বিশেষ করে জাতীয় খাদ্য নীতি এবং এ সম্পর্কিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং মনিটরিং এ দায়িত্বপ্রাপ্ত।

  • খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিকারন কমিটিঃ এটি কেবিনেট লেভেলের এবং খাদ্য নিরাপত্তা নীতি প্রণয়নে নেতৃত্ব দানকারী কমিটি।
  • খাদ্য নীতি ওয়ার্কিং গ্রুপঃ একটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় কমিটি যা বিভিন্ন সেক্টরের অংশগ্রহনের মাধ্যমে খাদ্য পরিকল্পনা নীতি, কর্মপরিকল্পনা এবং রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিষয় মনিটর করে থাকে।
  • খাদ্য পরিকল্পনা এবং পরিধারণ ইউনিটঃ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই ইউনিট খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে।
  • থিমাটিক টীমঃ খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারন ইউনিটের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় এর ৪ (চার) টি বিশেষায়িত টীম খাদ্য নিরাপত্তার ৪ (চার) টি মাত্রার সাথে সম্পর্কিত।
  • ন্যাশনাল কমিটিঃ এটিও উক্ত পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কমিটি যা খাদ্য নিরাপত্তা তথা জাতীয় খাদ্য নীতি কর্ম পরিকল্পনা এবং রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা মনিটরিং এর সর্ব্বোচ্চ কমিটি। এই কমিটিতে সিভিল সোসাইটি, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, জাতিসংঘ এবং দাতা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিবৃন্দ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

খাদ্য নিরাপত্তা নীতি সচিবালয় (খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারন ইউনিট): খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য পরিকল্পনা এবং পরিধারন ইউনিট (এফপিএমইউ) খাদ্য নিরাপত্তা এবং সংশ্লিষ্ট সকল নীতি বাস্তবায়ন মনিটরিং করে। খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্লেণ এবং নীতি প্রণয়নের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সকল উপাত্ত/ডাটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং প্রচার করে থাকে এই ইউনিট। বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা মোতাবেক অথবা ইউনিটের নিজস্ব পদ্ধতিতে নীতি সম্পর্কিত পরামর্শ সরকারের নীতি নির্ধারনীদের কাছে উপস্থাপন করাও এই ইউনিটের কাজ।

এই ইউনিট খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারন কমিটি (এফপিএমইউ) এর সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে থাকে এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত অন্যান্য কমিটির কার্যক্রমে অবদান রাখে। এফপিএমইউ জাতীয় খাদ্য নীতি এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার দায়িত্বে রয়েছে। এই ইউনিট রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়ন, সমন্বয়, মনিটরিং এবং মূল্যায়নে প্রধান ভূমিকা পালন করছে।

এফপিএমইউ কার্যাবলী ভেদে ৪ (চার) টি বিভাগে বিভক্ত। তিনটি বিভাগ খাদ্য নিরাপত্তার মূল ৩ টি স্তম্ভকে (খাদ্য লভ্যতা, খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা এবং খাদ্য জৈবিক ব্যবহার ও পুষ্টি) প্রতিনিধিত্ব করে। তথ্য/উপাত্ত আদান-প্রদান এবং তথ্য প্রদানকারী হিসেবে ৪র্থ বিভাগ কাজ করে থাকে।

১) খাদ্যের লভ্যতা বিভাগ (Directorate of Food Availability): এই বিভাগ খাদ্য নিরাপত্তার খাদ্য লভ্যতা নিয়ে কাজ করে। এই বিভাগের ২ (দুই) টি সেবা কার্যক্রম রয়েছে: i) অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ii) পূর্ব সতর্কীকরণ ও কৃষি ধারণ ক্ষমতা

২) খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা বিভাগ (Directorate of Food Access): এই বিভাগ ভৌত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে খাদ্য প্রাপ্তি ক্ষমতা নিয়ে  কাজ করে। এই বিভাগে ২ (দুই) টি সেবা কার্যক্রম রয়েছে:

  1. ভৌত ও অর্থনৈতিকভাবে খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা
  2. সামাজিকভাবে খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা

৩) খাদ্যের জৈবিক ব্যবহার বিভাগঃ এই বিভাগ খাদ্যের জৈবিক ব্যবহার নিয়ে কাজ করে। এর একটি সেবা কার্যক্রম রয়েছে: খাদ্যের জৈবিক ব্যবহার ও পুষ্টি।

৪) ব্যবস্থাপনা, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগঃ এই বিভাগ এফপিএমইউ এর সকল কার্যক্রম একই কেন্দ্রে আনয়ন করতে কাজ করে। এই বিভাগের একটি সেবা কার্যক্রম: ব্যবস্থাপনা, তথ্য এবং যোগাযোগ।

এই ইউনিট এফপিএমসি কে কার্যকরী, সুসংহত এবং বিশ্লেষণমূলক সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় পদ্ধতি/কৌশল স্থাপন করেছে। খাদ্য নীতি ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং থিমাটিক টীমের মাধ্যমে।